আইএফআইসি ব্যাংক হোম লোন জনপ্রিয় হওয়ার কারণ

গৃহ নির্মান সামগ্রীর উচ্চ মুল্যের কারনে নিজ অর্থায়নে বাড়ী নির্মান বা ফ্ল্যাট নির্মান বা ক্রয় করা সাধারন মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষের সাধ্যের বাইরে চলে গেছে। এজন্য দিনে দিনে এ দেশে হোম লোন খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। বাংলাদেশের বেশ কিছু বাণিজ্যিক ব্যাংক ও  ঋণ প্রদানকারী আর্থিক প্রতিষ্ঠান খুব দক্ষতার সাথে এবং দ্রুততার সাথে গৃহ নির্মান ঋণ দিয়ে আসছে। এর মধ্যে আইএফআইসি ব্যাংক বেশ সুনাম অর্জন করেছে। আইএফআইসি ব্যাংকের এ লোন আইএফআইসি আমার বাড়ি নামে পরিচিত। বর্তমানে আইএফআইসি ব্যাংক হোম লোন গ্রাহক পর্যায়ে খুবই জনপ্রিয় হওয়ার বেশ কিছু কারণ আমরা এখানে তুলে ধরার চেষ্টা করব।

কেন আইএফআইসি ব্যাংক হোম লোন এত জনপ্রিয়?

  • আইএফআইসি ব্যাংক হোম লোন সকল প্রকার সুপ্ত ( হিডেন ) চার্জ মুক্ত।
  • অগ্রীম ঋণ পরিষোধে কোন অতিরিক্ত ফি বা বিধিনিষেধ নেই।
  • আপনি যে বাড়ী নির্মাণের জন্য গৃহ নির্মাণ ঋণ চাচ্ছেন তা যদি সেমি পাকা হয়ও তাও লোন পাওয়ার সুযোগ রয়েছে।
  • এখানে হোম লোন টেক-ওভার করার সুযোগ রয়েছে অর্থাৎ অন্য ব্যাঙ্কের হোম লোন আপনি এই ব্যাঙ্কে স্থানান্তর করতে পারবেন আর আপনার এর  জন্য কোন অতিরিক্ত ফি প্রদান করতে হবে না কিংবা এর জন্য আলাদা কোন প্রসেসিং ফি নাই।
  • যেদিন থেকে লোন সুবিধা পাবেন সেদিন থেকেই প্রিমিয়াম ওভারড্রাফট সুবিধা গ্রহন করতে পারেন।
  • আরো একটি বিশেষ সুবিধা হলো আপনি খুব কম খরচে এই ব্যাঙ্কের বিভিন্ন লোন একীভূত করে নিতে পারবেন।
  • তবে আপনি যদি নূতন গ্রাহক হন আর প্রথম এই ব্যাংক থেকে লোন সুবিধা নিয়ে থাকেন তাহলেও ন্যূনতম প্রসেসিং ফি দিয়েই নতুন লোন গ্রহনের সুবিধা নিতে পারেন।
  • আরেকটা উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো গ্রেস পিরিওড সুবিধা। অর্থাৎ কিস্তি চাইলে আপনি কয়দিন পর হতেও পরিশোধের সুবিধা ভোগ করতে পারেন।

ঋণের সীমা ও মেয়াদকালঃ

ঋণ গ্রহীতার বয়স ও আয়ের উপর নির্ভর করে একজন ব্যক্তি বা ঋণ গ্রহীতা সর্বোচ্চ কত টাকা ঋণ কত মেয়াদে পাবেন। অর্থাৎ প্রাপ্ত গৃহ নির্মান ঋণ তাকে কতদিনের ভিতর পরিশোধ করতে হবে। ঋণের সীমা নির্ধারণের ক্ষেত্রে আরো একটি বিষয় নির্ভর করে। সেটা হলো বন্দোককৃত সম্পত্তির মুল্য। সাধারণত যেকোন ব্যাংক বন্দোককৃত সম্পত্তির মোট মুল্যের ৭০শতাংশ ঋণ প্রদান করে থাকে।

  • আইএফআইসি হোম লোন নিয়ে আপনি সর্বোচ্চ ২ কোটি টাকা ঋণ নিতে পারবেন
  • ব্যাংক এই হোম লোন পরিশোধের জন্য আপনাকে ২০ থেকে ২৫ বছর সময় দিবে। চাকুরীজীবিদের জন্য এই সময় সীমা ২০ বছর এবং অন্যান্য পেশাদারীদের জন্য তা ২৫ বছর পর্যন্ত হতে পারে

ঋণের ক্ষেত্র সমূহঃ

নতুন বাড়ী বা ফ্ল্যাট তৈরী কিংবা ক্রয় করার ক্ষেত্রেঃ

পুরানো বাড়ী বা ফ্ল্যাট পুনঃনির্মান অথবা সংস্কার করার ক্ষেত্রেঃ

সেমি পাকা বাড়ী নবনির্মান অথবা সংস্কার করার ক্ষেত্রেঃ

অন্য ব্যাংকের ঋণ স্থানান্তর করে আনার ক্ষেত্রেঃ

লোন প্রাপ্তির জন্য প্রয়োজনীয় নথিপত্র সমূহঃ

  • ঋণ গ্রহীতার ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি
  • এন আই ডি ‘র কপি
  • টিন সার্টিফিকেট
  • ঋণ গ্রহীতার ব্যাংক হিসাবের বিবৃতি (স্টেটমেন্ট)
  • চাকিরীজীবিদের সেলারী সার্টিফিকেট
  • টিন সার্টিফিকেট
  • বাড়ি বা ফ্ল্যাটের জমির দলিল ও এ সংক্রান্ত অন্যান্য কাগজপত্র
  • বাড়ি বা ফ্ল্যাটের প্ল্যান ও প্ল্যান পাশের নথিপত্র

পরিশেষে বলা যায় আইএফআইসি ব্যাংক হতে লোন নিয়ে বাড়ী করা বা ফ্ল্যাট ক্রয়ের নিয়ম ও অন্যান্য শর্তগুলো অনেক ব্যাংকের থেকে অনেক সহজ।

বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করুন
আসুন আইএফআইসি ব্যাংক- এর যে কোনো শাখায়।

কিছু সাধারণ প্রশ্নঃ

প্রশ্নঃ ন্যূন্যতম কত টাকা আয় থাকলে এ লোন পাওয়া যায়?
উত্তরঃ লোন পাওয়া নির্ভর করে আয়, ব্যয়, অন্যান্য পরিসম্পদ ও জামিনদাতার উপর। সব কিছু মিলিয়ে একজন চাকুরিজীবির মাসিক বেতন যদি ৩৫,০০০ টাকা হয় অথবা একজন ব্যবসায়ীর মাসিক আয় যদি ৪০,০০০ টাকা হয় তাহলে এই লোন প্রাপ্তি সম্ভব হয়।

প্রশ্নঃ অন্য ব্যাংকে থাকা হোম লোন কি আইএফআইসি ব্যাংক এ কি স্থানান্তর করা সম্ভব?
উত্তরঃ হ্যাঁ, আপনি চাইলে অন্য ব্যাংকের থেকে নেয়া হোম লোন আইএফআইসি ব্যাংকে স্থানান্তর করতে পারবেন।

প্রশ্নঃ প্রবাসীরা কিভাবে হোম লোন নিতে পারবে?
উত্তরঃ হ্যাঁ, আপনি প্রবাসী হলেও এই ঋণ চাইলে ব্যাংক তা বিবেচনা করে।

প্রশ্নঃ হিডেন চার্জ কি?
উত্তরঃ হিডেন চার্জ বলতে বোঝায় সেই সকল চার্জ যে সম্পর্কে গ্রাহককে ঋণ গ্রহনের পূর্বে কোন প্রকার ধারণা দেয়া হয় না।  ঋণ গ্রহনের পর গ্রাহকের উপর এ ধরনের চার্জ ধার্য করা হয়।

সৌজন্যতায়ঃ

খাদিজা পারভিন, বসুন্ধরা শাখা